চুরি যাওয়া ১৭ টি বাইক উদ্ধার করে মালিকদের হাতে ফিরিয়ে দিল পুলিশ

4th December 2020 4:05 pm বাঁকুড়া
চুরি যাওয়া ১৭ টি বাইক উদ্ধার করে মালিকদের হাতে ফিরিয়ে দিল পুলিশ


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :   চোরাচালানকারীদের হাত থেকে উদ্ধার হওয়া ১৭ টি বাইক সংশ্লিষ্ট মালিকদের হাতে তুলে দিল কোতুলপুর থানার পুলিশ। বাঁকুড়ার কোতুলপুরের ঘটনা । প্রসঙ্গ, সম্প্রতি কোতুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক মানস চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তিন বাইক পাচারকারীকে গ্রেফতার ও তাদের কাছ থেকে ১৯ টি চোরাই বাইক উদ্ধার করে পুলিশ। গত ১৫ সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) গণেশ বিশ্বাস কোতুলপুর থানায় এক সাংবাদিক সম্মেলন করে ঐ বাইকদের আসল মালিকদের সন্ধান করে তাদের হাতে তা তুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। এদিন ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জনের হাতে তাদের চুরি যাওয়া বাইক ফিরিয়ে দিল কোতুলপুর থানার পুলিশ। উদ্ধার হওয়া বাইক গুলির মালিকরা বেশীরভাগের বাড়ি পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বলে জানা গেছে। পুলিশের এই সাফল্যে খুশি সংশ্লিষ্ট বাইক গুলির মালিকেরাও।

পশ্চিম মেদিনীপুরের জুনশোল গ্রামের বিপ্লব দণ্ডপাট বলেন, গননগনি পিকনিক স্পট থেকে আমার বাইকটি চুরি হয়। এই ঘটনার পর গড়বেতা থানায় অভিযোগ জানাই। পরে পুলিশের কাছ থেকে বাইক উদ্ধারের খবর পাই। বিষ্ণুপুর মহকুমা আলালতের নির্দেশে এদিন কোতুলপুর থানার পূলিশ তার হাতে বাইক তুলে দিল বলে তিনি জানান। সুমন মহান্তী নামে আর এক বাইক মালিক বলেন, বছর চারেক আগে মেদিনীপুর হাসপাতাল থেকে বাইকটি চুরি হয়। ফেরৎ পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। কিছুদিন আগে পুলিশের কাছ থেকে বাইক উদ্ধারের খবর পাই। এদিন সমস্ত নিয়মকানুন মেনে কোতুলপুর থানা তার খোয়া যাওয়া বাইক ফেরৎ দিল বলে তিনি জানান।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।